ঢাকা   বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
Image Not Found!

সর্বশেষ সংবাদ

  আ.লীগ সমর্থককে জোর করে লিফলেট দিচ্ছে বিএনপি নেতারা (রাজনীতি)        স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে নাহিয়ানের, ফেব্রুয়ারিতে উৎক্ষেপণ হবে রকেট (বাংলাদেশ)        নির্বাচন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের (জাতীয়)        ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবাই আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছে:রিজভী (জাতীয়)        আপিলে এ পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ১৬৮ জন (জাতীয়)        প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে রওশন এরশাদ (জাতীয়)        মেজর হাফিজকে বিদেশ যেতে দেয়নি সরকার (জাতীয়)        ভয়ংকর টর্নেডোয় তছনছ টেনেসি, নিহত কমপক্ষে ৬ (জাতীয়)        ২০০৯ সালের পরে শেখ হাসিনা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন : ওবায়দুল কাদের (জাতীয়)        অবরোধের সমর্থনে গুলশানে শ্রাবণের নেতৃত্বে মশাল মিছিল (জাতীয়)      

মঙ্গলও ভিজত বৃষ্টির পানিতে, হতো ঋতু পরিবর্তন

Logo Missing
প্রকাশিত: 10:17:21 am, 2023-08-16 |  দেখা হয়েছে: 3 বার।

মঙ্গল গ্রহেও কি এককালে ছিল শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা? ছিল প্রাণের স্পন্দন? বিজ্ঞানীদের ধারণা, অতীতে কোনো এক সময় মঙ্গল গ্রহেও ছিল ঋতুচক্র। বিজ্ঞানীদের অনুমান, হয়তো কোনো সময়ে বসবাসের যোগ্য ছিল লাল এই গ্রহ। সম্প্রতি মঙ্গলগ্রহ অভিযানে যাওয়া নাসার মহাকাশযান ‘কিউরিওসিটি’ কিছু ফাটলের ছবিগুলো তুলে ধরে। আর এই ফাটলগুলোই নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে গবেষণার জন্য।

ফাটলগুলো বিশদ পর্যবেক্ষণ করে ফ্রান্স, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, পানি ছিল ওই ফাটলগুলোতে। পরবর্তী সময়ে তা বাষ্প হয়ে উবে যায়। পানি জমা ও বাষ্পীভূত হওয়ার ফলেই এই ফাটলগুলোর সৃষ্টি বলে মত বিজ্ঞানীদের। এই প্রক্রিয়া কোনো এক সময় নিয়মি ভাবেই মঙ্গলের বুকে দেখা যেত অনুমান তাদের। এর জেরেই ফাটলগুলো সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।

বিজ্ঞানের বিখ্যাত জার্নাল নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে মঙ্গল গবেষণারত বিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথিবীতে মাটির ফাটলগুলো সৃষ্টির পরবর্তী সময়ে ইংরেজি ‘টি’-এর আকৃতির ছিল বলে ধারণা করা হয়। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার চক্রাকার আবর্তনের কারণে এই ফাটলগুলো আকারে পরিবর্তন করে ইংরাজি ‘ওয়াই’ আকৃতির রূপ নিয়েছে। মঙ্গলের ওয়াই আকৃতির ফাটলগুলো বিশ্লেষণ করে ভূ-তাত্ত্বিক ও মহাকাশ গবেষকরা বলছেন গ্রহটিতে একসময় পৃথিবীর মতো গ্রীষ্ম, বর্ষা ঋতুগুলো বিরাজ করত। এই ফাটলগুলো ভূপৃষ্ঠের মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার নিচে অবস্থিত হওয়ায় মনে করা হচ্ছে এক সময়ে মঙ্গলে দ্রুত ঋতু পরিবর্তন হত। হয়তো সেসময়ে প্রাণচঞ্চল গ্রহ ছিল মঙ্গল।

মঙ্গলের মাটির ফাটল-সংক্রান্ত গবেষণার কাজে যুক্ত বিজ্ঞানী নিনা লানজা। এই প্রসঙ্গে নিনা জানিয়েছেন, মঙ্গলের মাটির এই ফাটলগুলো পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে একসময়ে মঙ্গলে পানির অস্তিত্ব ছিল। এখন প্রশ্ন, কোনো একসময়ের পানিতে সিক্ত মঙ্গল কিভাবে আজকে এমন শীতল ও শুষ্ক গ্রহে পরিণত হল? পানি শুকিয়ে যাওয়ার প্রমাণ হিসেবে বিজ্ঞানীরা এই ফাটলগুলোকে চিহ্নিত করছেন। মঙ্গলে তরল পানি যে ছিল, তা প্রায় নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় অনুমান সময়টা আজ থেকে প্রায় ৩০ হাজার কোটি বছর আগে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস