সর্বশেষ সংবাদ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, এই সরকার সব সময় উন্নয়নের দোহাই দিচ্ছে। এতো উন্নয়ন করলে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে অনীহা কেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে লাখ লাখ মানুষকে কারাবন্দি করেছেন। ভালো কাজ করলে জনগণ ভোট দেবে তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। বারবার তালবাহানা করে কেন আগুন জ্বালাচ্ছেন। তিনি বলেন, তাদের অধীনে আরেকটি নির্বাচন মানে সম্পূর্ণ ধোঁকাবাজি ও অযৌক্তিক কথা।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফেনী শহরের মিজান ময়দানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, এ সরকার বিরোধী দলে থাকাকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে লগি বৈঠা আন্দোলন, মানুষকে হত্যা, গুমসহ বিভিন্নভাবে রাজপথে আন্দোলন করেছিল। কিন্তু এখন ক্ষমতায় বসে তারাই ভিন্ন কথা বলেন। এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। এটা আমরা না, এখন তাদের নেতারাও বলছেন। ২০১৮ সালে রাতের ভোটে সরকার গঠন করেছে তারা। এ অবৈধ সরকারের সংসদও বৈধ না।
তিনি আরও বলেন, আজকে তাদের নেতাকর্মীরাও উন্নয়নের কথা বলে বলে মুখে ফেনা তুলছে। আমরা তো দেখেছি কী উন্নয়ন হয়েছে। এই সরকার উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে। প্রতিটি নাগরিকের মাথার ওপর ঋণের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে কানাডায় বেগমপাড়া তৈরি করেছে। মানুষের কষ্টার্জিত টাকা বিদেশে পাচার করে সম্পদের পাহাড় করেছে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হলো দুনিয়াতে শান্তি, আখিরাতে মুক্তি। স্বাধীনতার ৫২ বছরে এ দেশকে বিভিন্ন সময় যারা শাসন করেছেন তারা স্বার্থের জন্য এমন কোনো ঘৃণিত কাজ নেই যা করেননি। এ সময়ের রাজনীতিতে লক্ষ্য করেছি, অনেক সন্তান পিতৃহারা হয়েছে, স্ত্রী স্বামী হারা হয়েছেন। যা এ দেশে আর দেখতে চাই না। এজন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে জালেমদের মসনদ তছনছ করে ক্ষমতা থেকে এদের বিতাড়িত করা হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফেনী জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা নূরুল করীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক ভূঁইয়ার পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আখন্দ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মাওলানা খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম রিয়াদ।